ভিডিও

দাঁতনে ইতিহাস তৈরী করলেন অনুসন্ধিৎসু মনের সন্তু জানা

দাঁতনে ইতিহাস তৈরী করলেন অনুসন্ধিৎসু মনের সন্তু জানা

শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর:- ইতিহাস বিজড়িত দাঁতনের দীর্ঘদিনের অধরা, অজানা ইতিহাস অবশেষে আলোকিত হল আঞ্চলিক ইতিহাসের গবেষক তথা দণ্ডভুক্তি পত্রিকার সম্পাদক সন্ত্তু জানার অনুসন্ধিৎসু কলমে।

সূবর্ণরৈখিক দক্ষিণ পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকা এই দাঁতন। সন্তু জানার ঐকান্তিক নিরলস প্রচেষ্টায় বারেবারে এই দাঁতনের ঐতিহাসিক যোগ নানা উপায়ে আলোকিত হয়েছে। মঙ্গলবার সেই একনিষ্ঠ গবেষকের একনিষ্ঠার ফসল রূপে প্রকাশিত হল “সেকালের দাঁতন, অনালোকিত ৩০০ বছরের কথা ও কাহিনী” নামে একটি আকর আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ।

 

এই গ্রন্থ প্রকাশনা ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অখণ্ড মেদিনীপুর জেলার আঞ্চলিক ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতির বিশিষ্ট গবেষক মন্মথ নাথ দাস, শান্তিপদ নন্দ, হরিপদ মাইতি, মধূপ দে, শচীন মান্না তথা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াসিন খান, পার্শ্ববর্তী ওড়িষা রাজ্যের গবেষক শ্রীকান্ত চরণ পাত্র এবং লোকসংস্কৃতির গবেষক ভাষ্করব্রত পতি, ফিরোজ খান, তরুণ সিংহ মহাপাত্র, মণিকাঞ্চন রায়, নরসিংহ দাস, চিত্র শিল্পী সুধীর মাইতি সহ অন্যান্য খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব।

 

অনুষ্ঠানে দুষ্প্রাপ্য সংবাদ পত্রের পত্রিকার প্রর্দশনী করে দণ্ডভুক্তি অ্যাকাডেমি। সাথে সাথে ঐতিহাসিক দাঁতনের বহু প্রত্ন নিদর্শনের চিত্র প্রদর্শনী হয়। চিত্রগুলি অঙ্কন করেন তরুণ শিল্পী মণীষা প্রধান। একই সাথে দাঁতনের ইতিহাসে প্রকাশ হল রাজা শ্রী রামচন্দ্র রায় বীরবরের সংক্ষিপ্ত জীবনী।

গুণী সাহিত্যিক, নাট্যকার, সঙ্গীত শিল্পী তথা কলকাতা বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্য রামচন্দ্র রায় বীরবর ১৮৬২ সালে দাঁতন এস্টেট এর জমিদার হন। উনবিংশ শতকের মধ্যেই দাঁতনে দাতব্য চিকিৎসালয় ও ইংলিশ স্কুল স্থাপন করেছিলেন। ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোড নির্মাণের জন্য বৃটিশদের বিনা শর্তে জমি দান করেছিলেন। ১৯২১ সালে তাঁর জীবনাবসান হয়। অনালোচিত অন্ধকারাচ্ছন্ন এই মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যু শত বার্ষিকী পালিত হল এই অনুষ্ঠানে।

 

দীর্ঘদিনের নিরলস প্রচেষ্টায় গবেষক সন্তু জানা শতাধিক নথি, পুঁথি, দলিল দস্তাবেজ, দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্রকে প্রামাণ্য করে ১৬৬০ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত সময়কালে দাঁতন তথা সীমান্ত বাংলার ঔপনিবেশিক যুগের অপ্রকাশিত ইতিহাসকে জনসমক্ষে নিয়ে এলেন।

TAGS

সম্পর্কিত খবর