লিলটু বাউরি, আসানসোল
কলকাতা আসানসোল সহ ১২ টি জায়গায় আধিকারিকদের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি। লালার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন এদের প্রত্যেকেই। লালার কয়লা পাচারের টাকা এদের মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
লোহাচুরি নিয়ে আয়কর তল্লাশির মধ্যেই রাজ্যে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে তৎপর হল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতা আসানসোল সহ মোট ১২টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই এমনটাই সূত্রের খবর। কী ভাবে লালার কালো টাকা হাতবদল হয়েছিল তাই জানতেই সিবিআই তল্লাশি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়লাপাচার মামলায় লালা ঘনিষ্ঠদের ঠিকানায় তল্লাশিতে নামে সিবিআই। আসানসোলের বাসিন্দা (কালু) নামে এক ব্যবসায়ী, দুর্গাপুরের বাসিন্দা (সৌরভ) কুমারের একাধিক ঠিকানায় পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
একই সঙ্গে কলকাতার ভবানীপুরে ইসিএলের প্রাক্তন আধিকারিক শ্যামল সিংহের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেও সেখানেও সিবিআইয়ের আরেকটি দল। তল্লাশি চালায় বলে সূত্রে খবর।
সূত্রে জানা গিয়েছে, লালার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন এদের প্রত্যেকেই। লালার কয়লা পাচারের টাকা এদের মাধ্যমে বাজারে বিনিয়োগ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাক্তন ইসিএল আধিকারিক শ্যামল সিংহ মোটা টাকার বিনিময়ে লালাকে অবৈধ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি তাদের।
কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ। তবে কী ভাবে কয়লার কালো টাকা সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছেছে তা এখনো খুঁজে বার করতে পারেননি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা।