।
লিলটু বাউরি, আসানসোল নির্ভীক বাংলা
ভারতবর্ষের পরিসংখ্যানে দ্বিতীয় দূষণমুক্ত শহর হিসেবে কেন্দ্রীয় সমীক্ষায় আসানসোলের নাম উঠে এসেছে। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন থেকে শুরু করে শিল্প কলকারখানা গুলি। আসানসোল-দুর্গাপুরের শিল্পাঞ্চলে ” পরিবেশগত স্থিতিশীলতা বা স্থায়িত্ব বা ইকোলজিকাল সাসটেইনেবিলিটি ” শীর্ষক সপ্তম আলোচনা সভা শনিবার অনুষ্ঠিত হলো আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।
আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহযোগিতায় বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল৷ এদিন সকালে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, এস সুরেশ কুমার, আইএএস চেয়ারম্যান, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন ( ডিভিসি), ব্রিজেন্দ্র প্রতাপ সিং (ডিরেক্টর-ইন-চার্জ)বার্নপুর ও দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, সেল ও চেয়ারপার্সেন দুর্গাপুর আসানসোল ফোকাস কমিটি) এবং গৌতম রায় (সভাপতি, বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও প্রেসিডেন্ট -কর্পোরেট, আরপিএসজি গ্রুপ) ও অন্যান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মলয় ঘটক বলেন, “শিল্পাঞ্চলে পরিবেশগত স্থায়িত্বের উপর এই আলোচনা ফোরামের আয়োজন করার জন্য আমি বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশংসা করছি। প্রতি বছর তারা আসানসোল-দুর্গাপুরের এর আয়োজন করে থাকে । আমরা সকলেই অবগত যে আসানসোল প্রাচীনতম স্টিল শহরগুলির মধ্যে একটি। এই আলোচনা সভায় ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে সেল বার্নপুর এবং দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের আধুনিকীকরণে ৩৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে৷ আমি মন্ত্রী হিসাবে বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে অনুরোধ করব এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেল্টে সরকারের সাথে কাজ করা ও সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য।