নিজস্ব সংবাদদাতা নির্ভীক বাংলা আসানসোল,
ট্রাক হাইজ্যাকের ঘটনার কিনারা করলো আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার আসানসোল উত্তর বিধানসভার ধাদকায় এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ডঃ সোনাওয়েন কুলদীপ সুরেশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ডঃ সোনাওয়েন কুলদীপ সুরেশ জানান, গত ২০ শে মে একটি রড বোঝাই ট্রাক হাইজ্যাক করা হয়েছিলো। এই ঘটনার পর আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ তদন্ত নেমে হাইজ্যাক ট্রাক সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।;পুলিশ জানান জিএসটি অফিসার সেজে ওই ট্রাকটি হাইজ্যাক করা হয়েছিলো। তদন্তে নেমে এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছে অন্ডালের কুলডাঙ্গার বাসিন্দা (১) তাপস মণ্ডল, রানীগঞ্জ বল্লভপুরের বাসিন্দা (২) প্রশান্ত ঢাঙ্গ্, রানিগঞ্জের (৩) হায়দর আলি, আসানসোল রেলপারের বাসিন্দা (৪) মহম্মদ শাহনওয়াজ ওরফে শাহনসাহ, ও হরিপুর নিবাসী
(৫) মিরাজ। অন্ডালের তাপস মন্ডল হাইজ্যাক করা ট্রাকের সমস্ত রড ষোলো লক্ষ টাকায় কিনেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ডঃ সোনাওয়েন কুলদীপ সুরেশ জানান, বাঁকুড়ার মেজিয়া থেকে একটি ট্রাক লোহার রড নিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। এর মধ্যে ট্রাকের চালক খাবারের জন্য একটি ধাবার কাছে ট্রাক থামায়। তারপর একটি স্করপিওতে করে পাঁচজন এসে ট্রাকের চালককে বলেন যে তিনি একজন জিএসটি অফিসার এবং তিনি ট্রাকটি চেক করবেন।
ট্রাক চালক কে স্করপিওতে ডাকা হয়, পরে খালাসীকেও ফোন করে ডাকা হয়। এরপর ট্রাকের চালক ও হেলপার দুজনকেই অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ট্রাক চালক ও হেলপারকে কালী পাহাড়ীর কাছে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর দেওয়া হয় আসানসোল উত্তর থানায়। এরপর তন্ময় রায় এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়, যা তদন্তে নামে। বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে অন্ডাল থানার অন্তর্গত তাপস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির গোডাউনে অভিযান চালায় পুলিশ, চুরি যাওয়া ৩৭ টন লোহার রড উদ্ধার করে, চুরি যাওয়া ৩৭ টন লোহার রডের আনুমানিক মূল্য ৩১ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা। ধৃত অভিযুক্ত তাপস মন্ডল এক জন রড ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছেন।