নিজস্ব সংবাদদাতা নির্ভীক বাংলা, আসানসোল
পানীয় জলের দাবিতে বাক্য বিনিময় স্মারকলিপি বোরো দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে।
শনিবার পানীয় জলের দাবিতে মিছিল করে বিক্ষোভ স্মারকলিপি দিলো বিজেপি কুলটির বোরো দপ্তরে। পানীয় জলের জন্যে মানুষের কাছে মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধী নেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। এই অবস্থায় মানুষ আসানসোল পৌর নীগমে দ্বারস্থ হচ্ছে। বিজেপির দাবি এখানে যদি বোরো দপ্তর থাকতো তাহলে মানুষকে এতদূর ছুটে যেতে হতো না।
“জলের আরেক নাম জীবন” মানুষ যদি এই গরমে জল না পাই তাহলে আমরা ভোটে জিতে কি করলাম। আজ যদি আসানসোল পৌর নিগম বোর্ড গঠন করে দিত তাহলে মানুষকে অসুবিধা পোহাতে হতনা। আমরা সাধারণ মানুষের ভোটে জয়ী হয়েছি। মানুষের জন্যে জল টুকুই না দিতে পারি তাহলে কিসের বিজেপি কাউন্সিলর। তাদের দাবি পৌর নিগম বোর্ড গঠন করে মানুষকে পানীয় জল সরবরাহ করতে হবে।
এদিন বিরোধী কাউন্সিলার চৈতালি তিওয়ারি অভিযোগ মেয়র প্রথমত আমাদের সাথে দেখা করতে চাইনি। বিভিন্ন টালবাহানা করে গরমে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে আমাদের স্মারকলিপি নিলেও পরে তিনি সমস্যার সুরাহা না করে এই বোর্ডের নয় বলে কথা ঘুরিয়ে দেন। চৈতালি দেবী আরো বলেন তিন মাস ধরে নগর নিগমে পুর গঠন করতে পারেনি, যার ফলে আসানসোলে মানুষ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তিনি বলেন আমরা সাধারণ মানুষের ভোটে আমরা জয়লাভ হয়ে এসেছি, তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে আমরা তাদের কাজ করব। তিনি বলেন আসানসোল পৌর নিগম সার্কাসে পরিণত হয়েছে এবং জোকারদের কান্না বন্ধ করার চেষ্টা করছি।, কাকে কী পদ দেওয়া হবে সেই নিয়ে। তিনি বলেন তাদের সৎ বুদ্ধি হোক এবং মানুষের কাজ করুক।
অন্যদিকে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ অধিকারী বলেন,যে ডেপুটেশন দেওয়া হচ্ছে তাতে নির্দিষ্টভাবে কোন কাজের কথা বলা হয়নি, এবং ১৫ দিনের মধ্যে কাজ করতে হবে। সাধারণত কি কি কাজ হবে না জানলে কোন দিন একই অবস্থানে হবে? তিনি বলেন ১৫ দিনে কোন কাজ হয়না। তিনি আরো বলেন ভোটের আগে জলের লাইন দিয়ে দেওয়া হবে বলে ভোটারকে প্রভাবিত করা হয়েছে তার জন্য আমরা দায়ী নয়। আর ওইসব লাইনে জলের ব্যবস্থা করে প্রথমে জলে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তবে সম্পূর্ণ জল দেওয়া সম্ভব হবে। যেসব কাজ আছে সেসব কাজ আবার শুরু হবে কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাড়াতাড়ি করে কোনো কাজই হবে না বলে তিনি জানান।