রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী নির্ভীক বাংলা আসানসোল
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সংযোগের জন্যে স্থায়ী সেতুর তৈরীর ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছে ৷ এবিষয়ে রাজ্য পূর্ত দফতরে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে ৷ তবে বার্নপুরের কালাঝরিয়া অঞ্চলে এই স্থায়ী সেতু তৈরীর কাজ ঠিক কবে থেকে শুরু হবে এবং কবে কাজ শেষ হবে বা সেতু তৈরীর প্রজেক্ট রিপোর্ট কী তা জানার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে বাঁশের অস্থায়ী সেতুতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান নদীর দুই পারের বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি ও অগ্নিমিত্রা পল৷ উল্লেখ্য বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরি ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল ৷ জানিয়েছেন, বাঁশের অস্থায়ী সেতুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করেন।
আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আসে যায়, ভোট আসে যায়, মানুষের প্রতিশ্রুতি কোন দিনই রাখেন না সরকার। এখনতো টিএমসি সরকার তাদের আলাদা ভাবে বলার কিছুই নেই। এই বাঁশের ব্রিজ দিয়ে বহু মানুষ আসা-যাওয়া করে। বিশেষ করে আসানসোল, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া মানুষ এই বাঁশের ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়া করে। এই ব্রিজ দিয়ে এদিক থেকে ওদিকে গেলে টাকা দিতে হয়। তিনি বলেন কিসের জন্য টাকা লাগবে আমি জানিনা। ব্রিজ যেতে হলে টোল ট্যাক্স দিতে হয় তা মেরামতের জন্য কিন্তু এই বাঁশের ব্রিজের জন্য কেন? তিনি বলেন এই ব্রিজ দিয়ে বহু মানুষ আসা-যাওয়া করে। এই ব্রিজের দেখাশুনার জন্য কোনো সরকারি ব্যক্তিকে দেখা পাওয়া যায় না। যে কোনো সময় ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে। এই সরকার অপেক্ষা করছে কখন দুর্ঘটনা হয়ে কয়েকশো মানুষ মারা যাবে, কয়েকশো পরিবার শেষ হয়ে যাবে। তারপর হয়তো সরকারের নজর পড়বে। তিনি বলেন এই সরকার কোনদিনই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। আজ শিক্ষা জগতেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
২০১৯ সালের প্রেসের সামনে বলেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা হবে, এখনো হয়নি। কোর্ট কেসের চাপে আবার নিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে, কিন্তু এবারও বিশ্বাস হচ্ছে না। অগ্নিমিত্রা বলেন পূর্তমন্ত্রী বলছেন ২০৪ কোটি টাকা দিয়ে এই ব্রীজ করা হবে। কিন্তু কখন হবে কখন শেষ হবে তার নির্দিষ্ট রিপোর্ট জনসাধারণের কাছে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানান দিল্লিতে নীতিন গড়করির কাছে এই ব্রিজের বিষয়ে কথাবার্তা বলেছিন। মন্ত্রী বলেছেন কেন্দ্র ব্রিজ তৈরি করতে রাজি কিন্তু রাজ্য সরকারকে তা বলতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার এ বিষয়ে উদাসীন। বিধায়িকা বলেন বর্ষা এলেই ব্রিজ ধুয়ে মুছে যাবে তারপরে টিএমসি টেন্ডার পাবে এবং সেখান থেকেই টাকা তুলবে তারা। তিনি প্রশ্ন করেন এই ব্রিজ থেকে ৫, ১০, ২০ টাকা কিসের জন্য নেয়া হয়? কারা নিচ্ছে এই টাকা? তিনি বলেন এই টাকা সরকার সরাসরি না নিয়ে সাকরেদের মাধ্যমে এই টাকা নিচ্ছে সরকার।
তৃণমূল রাজ্য কোর কমিটির সদস্য তথা ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন,যে সমস্ত কর্মসূচি গুলো এবার রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে ফলপ্রসূ হতে চলেছে সেই কর্মসূচিগুলির খবর নিয়ে তিনি মুভমেন্ট করছেন।এই সমস্ত ইস্যু নিয়ে আগেই মাননীয় মন্ত্রী মলয় ঘটক একটা সদর্থক বৈঠক করেছেন তারপর এনারা শুধু কপি পেষ্ট করছেন। এমনকি রাজ্যে সরকারের দুয়ারে সরকার বা পাড়ায় সমাধানেরো কপি পেস্ট করছেন অগ্নিমিত্রা পল বলে দাবি করেন তিনি।