নিজস্ব সংবাদদাতা, নির্ভীক বাংলা, আসানসোল: শুক্রবার রাত পোহালেই ভোট গণনা শুরু। কে আসানসোল লোকসভা দখলে নেবেন জানা যাবে শনিবার খুব সম্ভবত দুপুরের মধ্যেই। প্রধান প্রতিদ্বন্দী দুই দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির উত্তেজনায় ফুটছেন। টানটান লড়াইয়ে দু’দলে্র প্রার্থীদেরই আসনটি জেতার সম্ভাবনা প্রায় সুনিশ্চিত। অতএব, কোন পক্ষই বুক বাজিয়ে বলতে পারছেন না আসানসোল তাদের দখলে যাচ্ছে। ভোট নিয়ে কম হট্টগোল হয়নি। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বারাবনি বিধানসভা এলাকা। অভিযোগ, সাংবাদিকদের গাড়ি আটকে দিয়ে জোর ছাপ্পা চলেছে সেখানের বেশ কয়েকটি বুথে। এসব এখন অবশ্য অতীত। তবে, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা একেবারে নিশ্চিত আসনটি এবার বিজেপির হাত থেকে জোড়া ফুল শিবির ছিনিয়ে নিচ্ছে। আশাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল ও।এই কেন্দ্রে আগে দুবার সাংসদ হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। গায়ক-অভিনেতা থেকে রাজনীতিক বাবুল বাবু এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে দুবার সাংসদ হন। শেষবার অবশ্য মেয়াদ খতম হওয়ার আগেই তিনি জোড়া ফুল শিবিরে যোগ দিয়ে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই আসনটি দখলে আনতে জান লড়িয়ে দিয়েছিল। দলের বড় বড় নেতারা শত্রুঘ্ন বাবুর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন। তুলনামূলকভাবে অগ্নিমিত্রা দেবী তেমন কোনো তারকা প্রচারক পাশে পাননি। সে দিক থেকে বিচার করলে অগ্নিমিত্রা দেবী প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে আছেন। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট প্রার্থী দিয়েছে। তবে, তারা কতটা ফাইট দিলেন সেটাই এখন দেখার। বামফ্রন্ট প্রার্থী সিপিএমের পার্থ মুখোপাধ্যায় এ অঞ্চলে পরিচিত মুখ। অপরপক্ষে, হাত পার্টির প্রসেনজিৎ পুইতুণডী কিছুটা অচেনা এ অঞ্চলের কাছে। তার অর্থ অবশ্য এটা নয় যে, পার্থ বাবু প্রসেনজিৎ বাবু সহজে জায়গাটা ছেড়ে দেবেন। অন্তত এমন আশা করছেন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। তবে, লড়াই যে জোরদার হবে সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ইভিএম মেশিন গুলো এখন কড়া প্রহরায়। এরমধ্যে কি যে লুকিয়ে আছে তা একমাত্র জানেন তিনি। বাকিদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। স্থানীয় এক প্রবীণ বলেন, ভোটে জেতা বা হা্রা বড় কথা নয়। হারজিত মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। যিনি জিতুন বা হারুন তার কর্তব্য হলো মানুষের পাশে থাকা। জনগণ ফাঁকা বুলিতে আর বিশ্বাসী নয়। তারাক কাজ চায়। শিল্পাঞ্চলের মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিটাকে পুনরুজ্জীবিত অবস্থায় দেখতে চায়। এই কথাটুকু নেতারা মনে রাখলেই চলবে।