।
সংবাদদাতা, অন্ডাল : “যুদ্ধ নয়-শান্তি চাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাইকেল করে দুর্গাপুর থেকে কাশ্মীর পাড়ি দিলেন পেশায় ঘুগনি বিক্রেতা শ্যামাপদ শর্মা ।
দুর্গাপুর সেকেন্ডারির বাসিন্দা শ্যামাপদ শর্মা (৫০), পেশায় ঘুগনি বিক্রেতা । সেকেন্ডারি এলাকাতেই ঠেলাগাড়ি করে ঘুগনি বিক্রি করেন, এটাই তার জীবিকা । বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও এক ছেলে । একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে । সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণে । তবে এডভেঞ্চার নয় । উদ্দেশ্য বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা । শ্যামাপদ বাবুর ভ্রমণসঙ্গী একটি সাইকেল । এই সাইকেল নিয়েই ইতিমধ্যে তিনি ঘুরেছেন ভারতবর্ষের প্রায় সর্বত্র । গিয়েছেন নেপালের কাঠমান্ডু পর্যন্ত । পরিবেশ পরিছন্নতা,কন্যা ভ্রূনহত্যা, নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে তিনি ঘুরেছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত । ঘুগনি বেঁচে আয় হয় সামান্য । তা দিয়ে চলে সংসার । তবে অর্থ কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি শ্যামাপদ বাবুর ভ্রমণ কর্মসূচির । স্ত্রী সহ পরিবার এ কাজে উৎসাহিত করে শ্যামপদ বাবুকে । স্ত্রী অসীমা শর্মা বলেন অর্থের অভাব থাকলেও আমাদের শান্তিতে সংসার । তাছাড়া উনি সমাজের ভালোর জন্য এই কাজ করেন । আমরা সব সময়ই এই কাজে উনাকে উৎসাহিত করি বলে জানান অসীমা দেবী । “যুদ্ধ নয় শান্তি চাই” এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে শ্যামাপদ বাবু রবিবার সাইকেল কে সঙ্গী করে যাত্রা শুরু করেন দুর্গাপুর থেকে । লক্ষ্য জম্বু-কাশ্মীর হয়ে লাদাখ পৌঁছানো । এদিন যাত্রাপথে অন্ডালের জে,কে রোপওয়ের কাছে দাঁড়িয়ে শ্যামাপদ বাবু বলেন যুদ্ধ মানেই ধ্বংস আর ক্ষতি । ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বে অর্থনীতির ওপর চাপ বেড়েছে । পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাস সহ জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হুহু করে । অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার প্রয়োজন । সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এবারের তার সফর বলে জানান তিনি ।