লিলটু বাউরি, আসানসোল
এখন আর জাতীয় সড়কের কালিপাহাড়ী মোড়ের ধাপায় আবর্জনার স্তূপ চোখে পড়বে না। এই ধাপায় বর্জ্য আবর্জনার স্তূপ সরানোর জন্য রাজ্য সরকারের সুডা বা স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য সুডা টেন্ডার করে একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। এই ধাপায় একটি মেশিন বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে সেই মেশিনের উদ্বোধন করেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। ছিলেন পুর কমিশনার রাহুল মজুমদার, দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ওয়াসিমুল হক, মেয়র পারিষদ সদস্য সুব্রত অধিকারী, গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় , মানস দাস, একাধিক কাউন্সিলার সহ প্রমুখ।
এর পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে ঘরে ঘরে গিয়ে যারা আবর্জনা সংগ্রহ করে থাকে সেই নির্মল বন্ধু ও নির্মল সাথীদের সুরক্ষা কিট দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২৬টি ওয়ার্ডে ডোর-টু-ডোর বা বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে । সেই প্রকল্পটি ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এর পাশাপাশি আসানসোল পুরনিগমের পাঁচটি বোরো অফিসে বড় বড় লোহার ডাস্টবিনও দেওয়া হয়েছে। কালিপাহাড়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা স্ক্রিনিংয়ের জন্য একটি মেশিন বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এখান থেকে আবর্জনার স্তূপ সরানোর পর রিসাইক্লিং প্লান্টের কাজ শুরু হবে। এখানকার বর্জ্য থেকে চার ধরনের বাই প্রোডাক্ট তৈরী করা হবে।
যার মধ্যে সারও আছে। পুর কমিশনার বলেন, এই কালিপাহাড়ি ধাপায় সাড়ে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন পুরনো বর্জ্য পদার্থ ও আবর্জনা জমে আছে। বাকি চারটি ধাপায় ( রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, কুলটি ও বার্ণপুর) আরো সাড়ে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন পুরনো বর্জ্য পদার্থ ও আবর্জনা আছে। এইসব কিছুই যেমন তোলা হবে, তেমনি নতুন যা আসবে, তারও স্ক্রিনিং করা হবে।