২৫০ বছরের পুরনো ওলদাচন্ডীর মেলা কেশিয়াড়িতে
শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর:- মকরসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই প্রাচীন বটগাছের নীচে চণ্ডী দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলে। এমনই প্রায় ২৫০ বছরেরও পুরনো ওলদাচন্ডীর মেলা হয়ে আসছে কেশিয়াড়ি ব্লকের সাঁতরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওলদা এলাকায়। সংক্রান্তির এখানে মেলার আয়োজন করে ওলদাচন্ডী মেলা কমিটি। যদিও এখানে কোনও স্থায়ী মন্দির নেই। লৌকিক বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই মেলা হয়ে আসছে ওলদাতে। প্রাচীন বটগাছের নীচে চলে চণ্ডীর আরাধনা। শ্রদ্ধালু মানুষ দূর দূরান্ত থেকে বিশ্বাস নিয়ে চলে আসেন ওলদা চণ্ডীর কাছে। মানত করেন, পুজো দেন। পুজোয় নানা উপাচারের মধ্যে বিশেষ করে থাকে মাটির হাতি ঘোড়া। যা দিয়েই পুজোর আসল নৈবেদ্য হয়। মানত করেন হাতি ঘোড়া দিয়ে। অনেকের বিশ্বাস ওলদা চণ্ডী নাকি খুব জাগ্রত। ভক্তের প্রার্থনা রাখেন। তাই পায়েস, খিচুড়ি, মিষ্টি, থেকে অন্যান্য ভোগ দেওয়ার ভিড় থাকে মকর সংক্রান্তির দিন। পায়রা ছাড়ার রেওয়াজ আছে এই মেলায়। তবে এবছর করোনা আবহে লোকজনের সমাগম তেমন হয়নি। এমনটাই জানালেন কমিটির সদস্যরা। ভালোবেসে মানুষজন আসছেন পুজো দিচ্ছেন এভাবেই চলছে এবারের ওলদাচন্ডীর মেলাতে। শুধু মকর সংক্রান্তির দিন নয়, প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার পুজো দেওয়ার রীতি আছে চণ্ডীর। এই মেলাকে ঘিরে বিশেষ জনজাতিভুক্ত সম্প্রদায়ের মানুষজনের অংশগ্রহণ থাকে বেশি। আস। এই মেলার প্রাচীন ঐতিহ্য যেমন আছে তেমনি রয়েছে লোকশ্রুতি। সন্ধের আগেই মেলা ও পুজো শেষ করতে হয়। নইলে চণ্ডী নাকি ক্ষুন্ন হন। তিন গ্রামের মাঝে বটগাছের নিচেই মকর সংক্রান্তির একদিনের মেলা। পাশেই রয়েছে পাথরের কুঁয়ো। যেখান থেকেই জল তুলে ব্যবহার করেন ভক্তরা। মেলার দোকানগুলিতে নানা সামগ্রী বিক্রি হয়। বছর বছর বহু মানুষের সমাগম ও বিশ্বাসে এগিয়ে চলে মেলা। মিলনের বার্তা দিয়ে যায়।