নির্ভীক বাংলা,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বর্তমান যুগে কারনসুধা পান ছাড়া হাল ফ্যাশন যেন চলেই না। কারণ আধুনিক যুব সমাজের কাছে এটা একটা বড় অংশের স্টাইল বা ট্রেডমার্ক। না কোনও গদ্য বা কবিতার লাইন নয়, দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরে দিনদুপুরে রাস্তার ধারে, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হোটেল ও দোকান গুলিতে আইনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ মদের ব্যবসা।
এই সব দোকানগুলির কোনও লাইসেন্সও নেই। প্রকাশ্যেই দেদার বিক্রি হচ্ছে মদ। সূত্র মারফত জানা গেছে, থানায় ও আবগারি দপ্তরের বাবুদের মাসিক টাকা দিলেই নাকি মদ বিক্রির টেন্ডার পাওয়া যায়। আবার থানার পুলিশ কর্মীদেরও খুশি করতে এইসব হোটেলের মালিকরা নামিদামী বিদেশি মদ খাওয়ান। তবে মাঝে মধ্যে নিয়ম মাফিক বা লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে হোটেল বা দোকান গুলোতে মদ আটক করা হয়।
কিন্তু তারপর কোনও এক অজানা কারণে মদ ব্যবসায়ী ছাড়া পেয়ে বুক চিতিয়ে আবার মদ বিক্রি করতে থাকেন। এই হোটেলগুলিতে ১০ টাকার খরিদ্দার থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা ও তারও বেশি টাকার খরিদ্দারদের ভীড় দেখা যায়। আর এই মদের দোকানগুলিতে সন্ধ্যে হতেই ভীড় জমায় অল্পবয়সি যুবক থেকে শুরু করে বহু মানুষ। তাদের আবার আরাম করে পানের জন্য কেদারুস্ত জায়গা আছে, যাকে চলতি ভাষায় কেবিন বলে। মাঝে মাঝেই মদের আসরগুলিতে গন্ডগোলের খবর শোনা যায়। আর এইসব কিছুই ঘটছে একেবারে প্রশাসনের নাকের ডগায়। সুত্র বলছে, তারা সব জেনেও নীরব বলেই অভিযোগ উঠেছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, মদের আসরের জন্য যুব সমাজের ভবিষ্যত দিনের পর দিন তলানিতে ঠেকছে, যা সত্যিই সমাজের কাছে একটি লজ্জাজনক ঘটনা। তাদের ভবিষ্যত যে অন্ধকার বলাই বাহুল্য। ২০১৫ সালে কালীপুজোর রাতে এই নেশাকে কেন্দ্র করেই বুনিয়াদপুরে এক যুবক খুন হয়েছিল। তারপরও হুশ ফেরেনি প্রশাসনের।
ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে ওঠা অবৈধ মদের কারবার যেন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আর প্রশাসন ঠুটো জগন্নাথ হয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই মদ পিপাসু যুব সমাজকে সকাল থেকে এই ধরনের মদের ঠেকগুলো আকর্ষণ করছে। তাই প্রত্যেকের দাবী, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিসত্বর এইসব অবৈধ মদ ব্যবসা বন্ধ করা দরকার।